টেকনাফে নির্মিত হচ্ছে ৫১ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক ◑

কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপ থেকে উলুবনিয়া পর্যন্ত এবং উখিয়ার বালুখালীর কাটাপাহাড় থেকে পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া পর্যন্ত নাফনদী উপকূলীয় এলাকায় ৬১ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে।

জানা গেছে, সড়কটি বাস্তবায়িত হলে সীমান্ত-নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। তাছাড়া নাফনদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহে আরসিসি ব্লক দেওয়া হবে।এতে নদী তীরবর্তী অনেক পরিবার বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেরক্ষা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা।

এদিকে, গত ১ ফেব্রুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের নেতৃত্বে পাউবোর একটি প্রতিনিধি দল এই সড়ক নির্মাণকাজেরঅগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্টরা জানান,সড়কটিতে নিরাপত্তা জোরদার ও পার্কিংয়ের জন্য অর্ধশতাধিক বিজিবির সীমান্ত চৌকি তৈরি করা হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাউন্নত করতে ৩০টির অধিক নতুন স্লুইস গেইট তৈরি, ৫০০সড়কবাতি লাগানো এবং পূর্ব দিকে তৈরি করা হবে কাঁটাতারেরবেড়া।সড়কটি উন্নয়নে প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে আরো সাড়ে৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দরকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নিকারুজ্জামান চৌধুরী  জানান,সীমান্ত সড়কটি বাস্তবায়িত হলে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত এলাকায়   সহজে দায়িত্ব পালন  করতে পারবে। এতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদকও চোরাচালান দমন সহজতর হবে।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, এই সীমান্তসড়কটি বিজিবির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। নাফনদীর পাশে সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমসহ বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করা কঠিন  হয়ে ওঠে। সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি বিজিবিকেদেওয়া হবে এটিভি যানবাহন।যা নিয়ে যে কোনো মুহূর্তে রোহিঙ্গাঅনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালানোসহজতর হবে।

পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরঅধীনে পাউবো উখিয়া ও  টেকনাফের নাফনদীর তীর এলাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশরোধ, মাদক ও চোরাচালান দমনের লক্ষ্যে টেকনাফে ৫১ কিলোমিটার ও উখিয়ায় ১০ কিলোমিটার  সীমান্ত সড়কে এখন মাটির উন্নয়ন কাজ চলছে। এই বিশাল প্রকল্পে দেশের নিরাপত্তা এবং বিজিবির চাহিদা বিবেচনা করে নতুন কিছু কার্যক্রম যুক্ত হচ্ছে। এজন্য আরো অতিরিক্ত৩৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফাইল প্রেরণকরা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বিশাল এই প্রকল্পটি ২০২২সালে সমাপ্ত শেষে ব্যবহার উপযোগী হবে।